মোঃ আব্দুল কুদ্দুস
‘নীলমণি’ নাটক পদ্মা-বড়াল থিয়েটারের ঐতিহ্যবাহী লোকপালা মনসামঙ্গল আঙ্গিকে লেখা একটা নাটক। নাটকটি যিনি লিখেছেন তার সম্পর্কে দুই এক লাইন না লিখলে নিজেকে অপরাধীর কাতারে দাড় করানো হবে। লোকগবেষক গাজিবর রহমান যাকে খুব কাছে থেকে দেখা মানুষগুলোর মধ্যে আমি অন্যতম বলে মনে করি। একজন লেখক তার মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে নাটক। পটভূমি, সম্প্রসারণ, বিচার- বিশ্লেষণের মাধ্যমে দাড় করা হয় একটা গল্প। গল্পের কিছু চরিত্র বাস্তব না হলেও বাস্তবসম্মত হয়। দ্বৈত- দ্বৈতাবাদ নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন স্যারের স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের প্রভাব ছিল তার লেখা নাটকে।
স্যারের কাছে থেকেই নাটকের প্রশিক্ষণ অবশ্য ‘নীলমণি’ নাটকের লেখক গ্রহণ করেছিল। হাজার বছরের সংস্কৃতির মধ্যে মাদার, আলকাপ, মনসামঙ্গল, গম্ভীরা, কুষান, কীর্তন, জারিগান, পুথিপাঠ, পটগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
লোকপালাগুলোতে বিশেষত দেখা যায় গায়েনরা সারাদিন কাজ করার পরে রাতভর গান গায়তেন। তাদের চরণে লুটিয়ে পড়ে ভক্তবৃন্দ লোক বিশ্বাসের কারণেই। মৃত্তিকার উপর থেকে উঠে আসা শিল্প ধরে রাখার একটা মাধ্যম হলো বাংলা নাটকের থার্ড থিয়েটার ফর্ম। এবার মূল কথায় আসি। ‘নীলমণ’ নাটকটি ব্যতিক্রমধর্মী একটা লোকগাথায় নির্মিত হয়েছে। এই নাটকটি প্রাণবন্ত হয়েছে এই কারণেই যে নাটকের প্লট ও কাহিনীবিন্যাস সুবিন্যস্ত ছিল। ঐতিহ্যবাহী (লোক) নাটকের এই শাখায় লেখক, নির্দেশক ও কলাকৌশলী দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমি ‘নীলমণি’ নাটকের লেখকের শেষ কথা দিয়ে আমার লেখা শেষ করতে চাই। “বাংলা নাটক বয়ে যাক মৌলিক গল্প নিয়ে”।